স্থাপিত ২০১০ খ্রি., EIIN: 137780
ই-মেইল: [email protected]
দ্রুত পরিবর্তিত এই পৃথিবীর সঙ্গে বদলে যাচ্ছে বাণিজ্যের ভাবনা । অগ্রসরতায় আমরা যুগের সাথে পালা দিয়ে এগোতে পারছি না। প্রায়োগিক এই শাখার তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে সহজবোধ্য এবং প্রায়গিক ও তাত্ত্বিক সমান্তরাল জ্ঞানকে একত্রে এগিয়ে নেয়ার মত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সীমিত। সেদিক থেকে হাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন কমার্স কলেজ বগুড়া, তথা উত্তরবঙ্গবাসীর অভাব পূরণ করবে ইনশাহআল্লাহ। কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাসে সুবিশাল ঋদ্ধ লাইব্রেরী, কম্পিউটার ল্যাব, বাধ্যতামূলক English Spoken-Writing Skill সহ শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ইংরেজীকে গুরত্বারোপ, বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর সাথে দক্ষ পরিচালনা পর্ষৎ ও প্রশাসনিক অবকাঠামো প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
কলেজটি দক্ষ, নৈতিক, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ কাঠামো নৈতিকতা নিয়ে তার পদক্ষেপ প্রতিনিয়ত অব্যাহত রাখবে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক মানুষ হওয়া যেমন জরুরী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ও অন্যতম যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর নিবিষ্ঠ শিক্ষাদান ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফল নিশ্চত করবে ইনশাহআল্লাহ। প্রথম থেকেই অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারে তার জন্য বিশেষ কোচিং ও বিশেষ নোট সাজেশন শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা সহ সকল সহযোগিতা প্রদান করে। আমাদের সম্মিলিত চেষ্টায় বিভাগ ভিত্তিক বিদ্যা চর্চা ও মৌলিক জ্ঞান জিজ্ঞাসার আলোকে অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রেও প্রভূত সাফল্য অর্জনে আমি নিজে প্রতিনিয়ত তত্ত্বাবধান করি। আমি সেইদিন সবচেয়ে আনন্দিত হব যেদিন আমার শিক্ষার্থীরা বিভাগ ভিত্তিক অর্জিত এই জ্ঞান সৃজনশীল ও অনুসাদ্ধিয় সু-মনের নিরন্তর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যতম মূল্যধারার বাণিজিক, সামাজিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, ব্যাংক অর্থলগ্নকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
২০১৭ সালে, আমরা বাচ্চাদের স্কুল শুরু করেছি “বেগম হোসনে আরা স্কুল”। আমি এর সভাপতির পদে রয়েছি। ১২ বছর ধরে পরিশ্রম করে আমি একটি “আবৃত্তি সংস্থা” পরিচালনা করছি। কবিতার প্রতি আমার হৃদয়ের গভীরতম ভালবাসা লালন করি, আমার রেকর্ড করা কবিতা আবৃত্তি ভিডিওগুলি আপলোড করা হয় – কবিতা চৌকাঠ ইউটিউব চ্যানেলে। ২০০০ সালের পর থেকেই আমি ‘কবিতা আবৃত্তি’ করে চলেছি, কখনই বিরতি নেয় নি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে, বহু বিদেশী দূতাবাস আমাকে কবিতার ভাষার মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক প্রকাশের স্বার্থে আমাদের সম্মানিত বিদেশী প্রতিনিধিদের সামনে মঞ্চে পরিবেশনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি “রক্তদাতা ক্লাব” শুরু করেছে এবং নাম দিয়েছে “শ্রাবনী সুলতানা রক্তদাতা ক্লাব”। অভিভাবক এবং স্টাফ সহ সমস্ত শিক্ষক জীবন বাঁচাতে রক্ত দান করেন। কমপক্ষে, ৩৯১ নিবেদিত সদস্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে তাদের রক্তদান করে। আমাদের “রক্তদাতা ক্লাব” এমন শিশুদের সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ বজায় রাখে যাদের “থ্যালাসোথেরাপি” দরকার এবং যারা আশেপাশের পরিস্থিতিগুলির দ্বারা দুর্ভাগ্য, অবহেলিত এবং দূরে নিক্ষিপ্ত।
আমি “রোটারি ক্লাব বগুড়া” আরআই -3281, বাংলাদেশ (২০২০-২০২১) এর সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত কৌশলগত বিকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন জার্নালে আমার বেশ কয়েকটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বহু টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার এবং লাইভ পারফরম্যান্স কয়েক বছর ধরে “বাংলাদেশ শিশু একাডেমী” প্রোগ্রাম পারফরম্যান্স সহ সম্প্রচারিত হয়েছে। জিলা এবং উপজিলা পরিষদের “আবৃত্তি প্রতিযোগিতা” তে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ‘কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয়ে অনুশীলন করা’ বাচ্চাদের আবৃত্তি পরিবেশনের বিষয়ে রায় দেওয়ার জন্য সরকার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
পর্যটনের প্রতি অবিরাম ভালবাসা এবং বিদেশ থেকে আমন্ত্রণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, লন্ডন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারত পরিদর্শন করেছি এবং শেষ আমন্ত্রণটি ফিনল্যান্ড থেকে এসেছিল। চাঁদনি, ফুল, গান এবং সংগীত থেকে আমার কাছে ভালবাসার অনুভূতি আসে। মানুষ তাদের অন্তরে এবং অন্ধকার রাতের শেষে আরও বেশি মানবিকতার অধিকারী হবে; আশার জ্বলন্ত সূর্য এনে দিয়ে মানুষ মন জয় করবে।
সবশেষে, কলেজ কমিটি আমাকে যে আশা নিয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পন করে আমাকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন তা পূরনে আমি সদা সচেষ্টা থাকবো। কলেজকে সম্মানিত অবস্থানে নিতে আমি আমার মেধা মনন দিয়ে শিক্ষার্থীকে গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার সফল করার লক্ষ্যে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।